হবিগঞ্জে বন্যার ভয়াবহতা বাড়ছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি কালনি-কুশিয়ারা দিয়ে এসে ভাটি এলাকা দিয়ে হবিগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করছে। এতে জেলার ৭টি উপজেলার কমপক্ষে ৭ লাখ মানুষ পানি বন্ধি রয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানিয়েছে, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হবিগঞ্জে বন্যার পানি আঘাত হানে। শুরুতেই বাড়তে থাকে কালনী, কুশিয়ারা, খোয়াইসহ বিভিন্ন নদীর পানি। কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবল বেগে নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করে।
বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্রমেই পানি বাড়তে থাকায় আক্রান্ত হয় বানিয়াচং,, মাধবপুর ও লাখাই উপজেলা। আর সর্বশেষ গত বুধবার (২২ জুন) থেকে নতুন করে প্লাবিত হতে থাকে বাহুবল উপজেলাও।
এদিকে প্রতিদিনই বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে খাদ্য সহায়তা দিয়ে চলেছেন জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা।
মাঠে আছেন জনপ্রতিনিধিরাও। জেলা প্রশাসন বলছে, বানবাসীদের উদ্ধার তৎপরাতা চলছে। সেই সাথে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলায় ২২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।